কোডিং সংক্রান্ত ত্রুটির কারণে এক উপজেলা ও অন্য উপজেলা থেকে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী নির্বাচন ব্যাহত হয়েছে।

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফলে একটি ত্রুটি ঘটেছে। এটি একটি “কোড” সম্পর্কিত ত্রুটির কারণে হয়েছে৷ সে কারণে আজ বিকেলে ফলাফল ঘোষণার পর সন্ধ্যা পর্যন্ত স্থগিত করা হয়।

প্রাথমিক ও কলেজিয়েট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবপুর রহমান বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফল প্রকাশে দেরি হয়েছে। এটা পর্যালোচনা এবং আগামীকাল আবার পোস্ট করা হবে.

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ‘কোডিং’ সংক্রান্ত ত্রুটির কারণে এক উপজেলা ও অন্য উপজেলা থেকে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী নির্বাচন ব্যাহত হয়েছে।

জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট অনুজ কুমার রায় মঙ্গলবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, কিছু বাগ ছিল। সংশোধন এখন চলছে।

এর আগে সাধারণ সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রাথমিক ও কলেজিয়েট শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে জানা যায়, ২০২২ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় মোট ৮২ হাজার ৩৮৩ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে যার মধ্যে মেধা কোটায় ৩৩ হাজার এবং সাধারণ কোটায় ৪৯ হাজার ৩৮৩ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে।

স্কলারশিপ প্রিলিমিনারি পরীক্ষা গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। এই পরীক্ষা বাংলা, ইংরেজি, গণিত এবং বিজ্ঞান বিষয়ে প্রতিটিতে ২৫ নম্বর সহ ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়।

করোনার পাশাপাশি গত জানুয়ারি থেকে চালু হওয়া নতুন পাঠ্যক্রমকে বিবেচনায় রেখে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষার চূড়ান্ত পরীক্ষা গত তিন বছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়নি। প্রাথমিক ও কলেজিয়েট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, আগামী দিনে এই পরীক্ষা হবে না। কিন্তু গত ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও কলেজিয়েট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে হঠাৎ সিদ্ধান্ত হয় চলতি বছর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

যদিও শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছিলেন, বছরের শেষ দিকে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের জন্য ক্ষতিকর হবে, অন্যদিকে নতুন পাঠ্যক্রমের আলোকে ভবিষ্যৎ শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তনও নেতিবাচক হবে। তবে প্রাথমিক ও কলেজিয়েট শিক্ষা মন্ত্রণালয় তার সিদ্ধান্তে অনড়।

Leave a Comment