ভালো ক্যামেরা ফোন চেনার উপায়

ভালো ক্যামেরা কোন চেনার উপায় আমরা অনেকেই জানিনা। আমরা মার্কেটে যাই এবং ক্যামেরা ফোন কিনে নিয়ে আসি। কিন্তু কোন ফোন এর ক্যামেরা ভাল সেটা আমরা চিনে নিয়ে আসতে পারিনি।এ কারণে যারা মোবাইল ফোনের কনফিগারেশন সম্পর্কে জানেন না অথবা জানার জন্য আগ্রহী অথবা ভালো ক্যামেরা ফোন চেনার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন, আপনাদের জন্য এই আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে। 



ভালো ক্যামেরা ফোন চেনার উপায়

অনেক বছর ধরেই ক্যামেরা নির্মাতা যে প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে তাদের মধ্যে ক্যামেরার পারফর্মেন্স নিয়ে বেশ প্রতিযোগিতা হচ্ছে। 2010 সালের samsung এর বাজারে আসে গ্যালাক্সি এস এই স্মার্টফোনের ক্যামেরা অত্যন্ত দারুন একটি ক্যামেরা ছিল। এবং এই ফোনটিতে হাইড মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু এ বছরের জুন মাসে বাজারে আসে গ্যালাক্সি এস ফোর এবং এই ফোনটির ক্যামেরা বাড়িয়ে করা হয় ১৩ মেগাপিক্সেল। 

তাই আমাদের জানতে হবে আসলে ভালো ক্যামেরা ফোন কোনটি আসলে। ভালো ক্যামেরা ফোন চেনার জন্য প্রথমে আমাদের যে দিকটি দিকে নজর দিতে হবে সেটি হচ্ছে। অর্থাৎ আপনার ফোনের ক্যামেরার মেগাপিক্সেল যত বেশি হবে সেই ফোনের ক্যামেরা তত বেশি ভালো হবে।  

এছাড়াও আরো কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো যদি আপনি মেনে চলেন তাহলে আপনি খুব ভালো মানের একটি ক্যামেরা ফোন কিনতে পারবেন। 

বেশি মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা নির্বাচন

আপনি যদি কম আলোকে ছবি তুলতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই প্রচলিত ক্যামেরা পদ্ধতির দুর্বলতা বুঝতে হবে। এজন্য অবশ্যই আপনার ভালো ক্যামেরা ফোন কেনার জন্য ভালো মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা নির্বাচন করতে হবে। ছোট যে ইমেজ সেন্সর রয়েছে সেটির পিকচার কিংবা স্মার্টফোনের বড় ইমেজ সেন্সর বসানো জায়গা না থাকায় পিক্সেলের আকার ছোট হয়ে যায় এবং এক্সাম হচ্ছে ক্ষুদ্রতম একক যার অভ্যন্তরে আর কোন ভগ্নাংশ থাকে না। 

তাই যে ক্যামেরার যত বেশি মেগাপিক্সেল থাকবে সেই ক্যামেরা তত বেশি সুন্দর হবে। বর্তমানে তাইওয়ানের প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা রয়েছে এবং এই প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা এমন একটি ইমেজ সেন্সর যুক্ত করেছে যা কিছু মাত্র চার মেগাপিক্সেলের ছবি তুলে। 

ক্লিয়ার পদ্ধতি ব্যবহার করা

সাধারণত ক্যামেরায় তিনটি রং বা সেন্সর ডিজাইন করা হয়ে থাকে লাল নীল এবং সবুজ। এই পদ্ধতির নাম দেয়ার ফিল্টার পদ্ধতি বলা হয়ে থাকে। ক্লিয়ার পিকজেল প্রক্রিয়াজাত করে সর্বশেষ ছবি হাজির হয়ে থাকে এবং সহজ কথায় বলতে গেলে ক্লিয়ার ক্যামেরায় লাল নীল এবং সবুজ এই তিনটি ধারণ করা হয়ে থাকে। 

এবং সর্বশেষ প্রসেসিং এর মাধ্যমে এই পিক্সেল গুলি নিয়ে আসে। এবং আরজিবিসি অর্থাৎ রেড গ্রীন এবং ব্লু এবং ক্লিয়ার এর চারটি পিক্সেলের সহায়তায় পরিষ্কার এবং ঝকঝকে ছবি তুলতে পারে এবং তৈরি করতে পারে। 

বর্তমানে এক্স গ্যালাক্সি এস ৪ বা লুমিয়া ১০২০ মোবাইলে এই ধরনের ক্যামেরা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 



আসল ফোন চেনার উপায়

আপনি যদি বাজার থেকে ফোন কিনতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই নির্বাচন করতে হবে এমনটি আসবে বা নকল কিনা। তাই আপনার ফোন আসল বা নকল ফোন চেনার উপায় জানার জন্য কিছু নিয়ম বা পদ্ধতি রয়েছে সেগুলো ফলো করতে হবে। সাধারণত আসল ফোন বলতে আমরা বুঝে থাকি অফিসিয়াল ফোন। এবং যতসব ভেজাল রয়েছে আনঅফিসিয়াল ফোনে। 

তাই আপনি যদি অফিসিয়াল ফোন চিনতে চান তাহলে আপনাকে আপনার ডিভাইস থেকে ডায়াল করতে হবে  *#০৬# 

এই কোডটি ডায়াল করার সাথে সাথেই আপনার ফোনে ১৫ সংখ্যার একটি আইএমইআই নাম্বার উঠে আসবে। যদি এই আইএমএ নাম্বার আপনি পেয়ে যান তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার ফোনটি অফিশিয়াল ফোন। সাধারণত আসল ফোন চেনার জন্য এটাই যথেষ্ট। 


ফোন আসল না নকল চেনার উপায়


আপনার ফোন আসল বা নফল এই চেনার জন্য আপনাকে আই এম এ নাম্বার বের করতে হবে। আপনি যদি আইএমইআই নাম্বার বের করেন তাহলে বুঝতে হবে আপনার ফোন অফিশিয়াল। অফিশিয়াল ফোন আসল ফোন। তাই আপনি যদি কোন ব্র্যান্ডের ফোন কিনে থাকেন তাহলে অবশ্যই সেই কোম্পানির শোরুম থেকে ফোন কিনবেন। অথবা সেই কোম্পানির ডিলারের কাছ থেকে সরাসরি ফোন কিনবেন। তাহলে আপনি অফিসিয়াল ফোন পাবেন। 


ভালো ক্যামেরা চেনার উপায়

ভালো ক্যামেরা চেনার জন্য আপনাকে অবশ্যই ক্যামেরার মেগাপিক্সেলের উপরে নজর দিতে হবে। ভালো ক্যামেরা নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমরা কয়েকটি বিষয় নির্বাচন করে থাকি তার মধ্যে একটি হচ্ছে বেশি মেগাপিক্সেল ক্যামেরা নির্বাচন এবং অন্যটি হচ্ছে ক্লিয়ার পদ্ধতি ব্যবহার করা। 

এই দুটি পদ্ধতি যদি আপনি ফলো করতে পারেন তাহলে ভালো ক্যামেরা আপনি খুব সহজেই চিনতে পারবেন। 

আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার পর ভালো ক্যামেরা ফোন চেনার উপায় সম্পর্কে আপনি ভালোভাবে জানতে পারবেন। এবং খুব সহজেই আপনি শোরুম থেকে ভালো ক্যামেরা ফোন এবং আসল মোবাইল টিমে মোবাইল কিনতে পারবেন। 

Leave a Comment