ইনকোর্স পরীক্ষা অনার্স কোর্সের অন্তর্ভুক্ত যাচাইকরণ একটি পরীক্ষা। ইনকোর্স পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নির্ভর করে ক্লাস বা ডিপার্টমেন্টের উপর এবং ইনকোর্স পরীক্ষার মধ্য থেকে সিলেবাস অনুযায়ী প্রশ্ন করা হয় যেটুকু পড়ানো হয় সেই টুকুনের মধ্যেই পরীক্ষা হয় তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস অনুসরণ করে ইনকোর্স পরীক্ষা হয়ে থাকে।
ইনকোর্স পরীক্ষা মূলত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীরা তাদের নিজ উদ্যোগে এই ইনফর্মেশন গুলো সংগ্রহ করে থাকে কিন্তু যদিও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিধি অনেক বড় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রদান করা হয় তারপরেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে অনেকেই খুঁজে পায় না তাই তাদের সুবিধার্থে ইনকোর্স পরীক্ষা কিভাবে হয় এবং কেন হয় এই বিষয়ে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে।
আরো বিস্তারিত জানুন: ইনকোর্স পরীক্ষা না দিতে পারার আবেদন পত্র
মূলত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুসারে ইনকোর্স পরীক্ষা ফাইনাল পরীক্ষার একটা অংশ হিসেবে কাজ করে ইনকোর্স পরীক্ষা প্রত্যেক বর্ষে মূলত দুইটি হয়ে থাকে তাই চারটি বর্ষে মোট চারটি ইনকোর্স পরীক্ষা প্রদান করতে হয়।
ইনকোর্স পরীক্ষা কিভাবে হয়
ইনকোর্স পরীক্ষা মোট ৪ বর্ষে আটটি ইনকোর্স পরীক্ষা প্রদান করতে হয় প্রতিটি বিষয়ের উপর ইনকোর্স পরীক্ষা দিতে হয় এবং প্রতিটি বিষয়ে নাম্বারের ১৫ নাম্বারে ইনকোর্স পরীক্ষা দিতে হয় এবং বাকি পাস মার্ক ক্লাসে উপস্থিতি উপর নির্ভর করে এই মোট ২০ নাম্বার হচ্ছে ইনকোর্স পরীক্ষার নাম্বার এবং বাকি 80 নাম্বার হচ্ছে ফাইনাল পরীক্ষার নম্বর।
উদাহরণস্বরূপ অর্থনীতি এবং উন্নয়ন এই বিষয়ে মোট নাম্বার হচ্ছে ১০০ লিখিত ৮০ এবং বাকি ২০ নাম্বার হচ্ছে ইনকোর্স পরীক্ষার প্রদত্ত নাম্বার।
তাহলে এক কথায় আমরা বুঝতে পারি ইনকোর্স পরীক্ষার ১০০ নম্বরের ভিতর ২০ হচ্ছে ইনকোর্স পরীক্ষা প্লাস ক্লাসে উপস্থিতি নাম্বার। এবং বাকি ৮০ নাম্বার হচ্ছে লিখিত ফাইনাল পরীক্ষা।
প্রতিটি বর্ষের ক্লাস শুরু হওয়ার তিন বা চার মাসের মধ্যে প্রথম ইনকোর্স পরীক্ষা হয় এবং দ্বিতীয় ইনকোর্স পরীক্ষা পরবর্তী চার মাসের মধ্যে হয়ে থাকে এবং তার পরে ফরম ফিলাপ হয় এবং ফাইনাল পরীক্ষা হয়ে থাকে।