কুরবানী কার উপর ফরজ || কুরবানীর পশু কেমন হতে হবে?

কুরবানী কার উপর ফরজ

প্রথমত, আলেমদের কেউই আসলে এই বক্তব্য দেননি। কোরবানি সুন্নত নাকি ওয়াজিব তা নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।

একদল উলামা বলেন, এটা সুন্নাত, সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। এটা অধিকাংশ আলেমদের বক্তব্য। আরেক দল উলামায়ে কেরাম বলেন, কোরবানি ওয়াজিব। তিন-চারজন উলামায়ে কেহ কুরবানী ওয়াজিব বলেননি।
শরীয়তে যাদের উপর কোরবানি ওয়াজিব তাদের মুসলমান হতে হবে, বিবেকবান হতে হবে, প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে, এগুলো ঠিক হবে।
এর সাথে আরেকটি শর্ত যোগ করতে হবে যে, যে ব্যক্তি ওই দিন কুরবানীর পশু জবেহ করতে সক্ষম হবে সে যেন সেই ব্যক্তির উপর কুরবানী করে। অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম এটাই বলেছেন।
কিন্তু যারা ওয়াজিব বলেছেন তারা দুটি কঠিন শর্ত দিয়েছেন। একটি হল, ব্যক্তির কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকতে হবে, যার উপর নেসাব পরিমাণ যাকাত ওয়াজিব। অন্যটি হল, সে পথিক হতে পারে না। এ দুটি শর্তে কুরবানী ওয়াজিব।
যদি কোনো ব্যক্তি এ দুটি শর্তের একটিও পূরণ করতে না পারে তাহলে তার ওপর কুরবানী ওয়াজিব হবে না।
কিন্তু বিশুদ্ধ বক্তব্য হলো, যে হাদীস দিয়ে রাসূলুল্লাহ (সা.) ওয়াজিবের দলিল দিয়েছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যার সামর্থ্য আছে, সে যেন কুরবানী করে।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সামর্থ্য রেখে গেলেন।
অন্য একটি রেওয়ায়েতে বলা হয়েছে, “যদি সে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুরবানী না করে, তাহলে সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।” রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মোটেও সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করেননি। ব্যাংকে কোরবানির টাকা থাকলে কোরবানি করতে পারেন।

কুরবানী কার উপর ফরজ | কুরবানীর পশু কেমন হতে হবে?

কুরবানীর ফরজ সম্পর্কে আমাদের সবারই ভুল ধারণা রয়েছে। তাই আজ আমরা আপনাদের জন্য কুরবানী কর ফরজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে এসেছি, যাতে আপনারা কুরবানী করার পূর্বে কুরবানীর সকল খুঁটিনাটি জানতে পারেন। তবে একজন মুসলিম হিসেবে কোরবানি করার আগে কোরবানির সব খুঁটিনাটি জেনে নিতে হবে।
একজন মুসলমান যখন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ইবাদত করে, তখন তাকে অবশ্যই সেই ইবাদতের নিয়মাবলী এবং ইবাদতের ফলে আল্লাহ কীভাবে তাঁর বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হবেন তার সমস্ত বিবরণ জানতে হবে। অন্যথায় কষ্ট করেই তার ইবাদত করা হবে কিন্তু কোন সওয়াব পাবে না। ফলে সেই পূজা আর পূজা থাকবে না কাজে পরিণত হবে। আমরা সবাই জানি যে কোরবানি একটি ইবাদতের অঙ্গ তাই এই ইবাদত করার আগে আমাদের অবশ্যই কুরবানী সম্পর্কে জানতে হবে এবং আমাদের অবশ্যই কুরবানীর ফরজ জানতে হবে। তো চলুন জেনে নেই কার উপর কুরবানী ওয়াজিব সম্পর্কে।

উপাসকরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য কোরবানি দেয় এবং এটি একটি আর্থিক ও আর্থিক ইবাদতের অংশ। যদি একজন উপাসক নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়, তবে তাকে সেই বোতলটি কুরবানী করতে হবে।
ইসলামের ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, আল্লাহর নির্দেশে হযরত ইব্রাহিম (আ.) তাঁর প্রিয় পুত্র হজরত ইসমাঈল (আ.)-কে কোরবানি হওয়ার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন এবং তিনি তাঁর পুত্রের গলায় ছুরি মেরেছিলেন। আল্লাহর হুকুমে তার ছেলেকে কোরবানি করা। অতঃপর মহান আল্লাহর হুকুম পালন ও সন্তুষ্টি লাভের জন্য পিতা-পুত্রের কোরবানি মহান আল্লাহর কাছে সন্তুষ্ট হয়ে ওঠে এবং আল্লাহর পরাক্রমশালী শিশু পুত্র হজরত ইসমাঈল (আ.)-এর পরিবর্তে পশু কোরবানি হয়।
মহান আল্লাহর নির্দেশে হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও তাঁর প্রিয় পুত্র হজরত ইসমাঈল (আ.)-এর ধৈর্যের পরীক্ষার পর এই অনন্য মহিমাকে স্মরণ করতে ঈদুল আযহার দিন পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে পালিত হয়। অনন্য বলিদান।



যে মুসলমানের নিসাব পরিমাণ সম্পদ আছে তার জন্য পশু কোরবানি করা ওয়াজিব। ইবাদতের মাধ্যমে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই ওই মুসলিম ব্যক্তির মূল উদ্দেশ্য। কোরবানি কার উপর ওয়াজিব? এ বিষয়ে নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেনঃ
“তোমাদের মধ্যে যে সামর্থ্য রাখে, অর্থাৎ যার নিসাব পরিমাণ সোনা আছে, সে যেন কুরবানী করে। এবং তিনি ক্রয়ক্ষমতা সম্পর্কে বিস্তারিত বলেননি. তিনি আরও বলেন, কোরবানি ওয়াজিব নয়, কোরবানি ওয়াজিব।
অতএব, আপনি পশু কোরবানির বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে বিভ্রান্ত করা উচিত নয়। হাদিস ও ইসলামী পণ্ডিতদের মতামত অনুযায়ী, যদি আপনার কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে তবে আপনাকে অবশ্যই মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পশু কোরবানি করতে হবে।

কোরবানি সুন্নাত না ওয়াজিব

আপনি ইতিমধ্যেই জেনেছেন যে, কেউ যদি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়, তাহলে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ঈদুল আযহার পশু কোরবানি করতে হবে। কিন্তু নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, কোরবানি ওয়াজিব কিন্তু তা ফরজ বা সুন্নাত নয়।
সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের আদেশে এবং তাঁর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি দেওয়া হয়। তাই একজন মুসলিম হিসেবে আমাদেরকে মহান আল্লাহর নির্দেশনা ও তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের কথা ভাবতে হবে। সেই সাথে পশু কোরবানি ওয়াজিব, সুন্নত নাকি ওয়াজিব তা নিয়ে বিভ্রান্ত না হয়ে শুধুমাত্র সর্বশক্তিমানের নির্দেশ অনুসারেই দিতে হবে। যেহেতু হাদীসের কোথাও স্পষ্টভাবে বলা হয়নি যে কোরবানি ওয়াজিব কিন্তু নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন যে কোরবানি ওয়াজিব।
তাই কোরবানি ওয়াজিব বলে গণ্য হবে।

কত টাকা থাকলে কোরবানি দিতে হবে?

যেহেতু কুরবানী আতিক ও আর্থিক ইবাদতের একটি অংশ, সেহেতু কুরবানীর জন্য কত টাকা প্রয়োজন বা কুরবানীর জন্য কত টাকা ব্যবহার করা উচিত তা নিয়ে আপনার চিন্তা করা স্বাভাবিক। এই সাধারণ সাধারণ প্রশ্নটি বোধগম্য হওয়া উচিত। সাধারণভাবে বলতে গেলে, একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ বা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের মালিককে এখন স্টুডিওতে বলি দিতে হবে। কিন্তু এখানে একটি প্রশ্ন আছে, নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ বলতে কী বোঝায়?
আমরা সকলেই জানি যে, ইবাদতকারীদের অন্যতম ইবাদত হলো যাকাত প্রদান করা। যাকাত প্রদানের জন্য নিসাব পরিমাণ সম্পদ বা অর্থের মালিক হতে হবে, যেভাবে কুরবানী করার পূর্বে নির্ধারিত পরিমাণ সম্পদ বা অর্থের মালিক হতে হবে।
তবে কোরবানি করার সংকল্প করার পর যে পরিমাণ অর্থ বা সম্পদের মালিক হতে হবে সে সম্পর্কে আমরা আপনাকে যে তথ্য দেব তা অবশ্যই কোরআন, হাদিস ও ইসলামিক স্কলারদের কাছ থেকে পেতে হবে।
একজন মুসলিম ব্যক্তির পরিবারের যাবতীয় খরচ মেটানোর পর যদি জিলহজ মাসের 10 ও 12 তারিখে নির্দিষ্ট পরিমাণ স্বর্ণ বা রূপা থাকে এবং সেই স্বর্ণ-রৌপ্যের বর্তমান বাজার মূল্য 50,000 থেকে 4 লাখ টাকা হয়, তাহলে সেই ব্যক্তির জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। অর্থাৎ জিলহজ মাসের 10 ও 12 তারিখে কোরবানির পশু জবাই করা হয় এবং এই সময়ে কোনো ইবাদতের নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে সেই ব্যক্তির ওপর কুরবানী করতে হবে।
নিসাব অর্থ সম্পদ- কারো কাছে যদি সাড়ে ৮ টন সোনা বা ৫২ টন রূপা বা তার অমূল্য সম্পদ থাকে, তবে এক বছর অন্যের ওপর মালিকানার পর সেই ব্যক্তি কুরবানী হবে।
কিন্তু এই সম্পদের কতটুকু কুরবানীতে ব্যয় হবে তার একটি অনুমান বর্তমান বাজার মূল্য হিসাবে নিচে বিস্তারিতভাবে দেওয়া হল-
যদি কোনো ব্যক্তির নিসাব পরিমাণ সাড়ে সাত ভরি/তোলা স্বর্ণ বা ৫০ তোলা রূপা থাকে, তবে তার বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী সেই স্বর্ণ বা টাকার মূল্য যদি ৫০ হাজার থেকে ৪ লাখ টাকা হয়, তাহলে কুরবানী করতে হবে। প্রয়োজনীয়
2022 সালের জন্য প্রতি ক্যারেট সোনার দাম নিম্নলিখিত টেবিলে উপস্থাপন করা হয়েছে-

২২ ক্যারেট সোনার ওজন ৭২ হাজার টাকা হলে নিসাবের পরিমাণ অর্থাৎ সাড়ে ৮ ভরি সোনার পরিমাণ হবে ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

২১ ক্যারেট সোনার ওজন ৬৯ হাজার টাকা হলে নিসাবের পরিমাণ অর্থাৎ সাড়ে ৮ ভরি সোনার দাম হবে ৫ লাখ ১৬ হাজার টাকা।

১৮ ক্যারেট সোনার ওজন ৭০ হাজার টাকা হলে সাড়ে ৮ ভরি সোনার দাম হবে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।


সনাতন পদ্ধতি অনুযায়ী স্বর্ণ প্রতি আউন্স ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা হলে নিসাবের পরিমাণ অর্থাৎ সাড়ে ৮ আউন্স সোনা হবে ৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা।

2022 সালের জন্য প্রতি ক্যারেট রূপার দাম নিম্নলিখিত সারণীতে উপস্থাপন করা হয়েছে-

২২ ক্যারেট রূপার ওজন ১ হাজার ৫১৮ টাকা হলে নিসাবের পরিমাণ অর্থাৎ সাড়ে ৫২ ভরি রূপার হবে ৬৯ হাজার ৫৯০ টাকা।

২১ ক্যারেট রূপার ওজন ১ হাজার ৪৩৫ টাকা হলে নিসাবের পরিমাণ অর্থাৎ সাড়ে ৫২ ভরি রূপার হবে ৬৫ হাজার ৩৩৮ টাকা।

18 ক্যারেট রূপার ওজন 1 হাজার 225 টাকা হলে, 52 ক্যারেট রূপার দাম হবে 64 হাজার 312 টাকা।


সনাতন পদ্ধতি অনুযায়ী রূপার ওজন ৯৩৩ টাকা হলে নিসাবের পরিমাণ অর্থাৎ সাড়ে ৫২ ভরি রূপার হবে ৪৭ হাজার ৯৮২ টাকা।

কুরবানীর পশু কেমন হতে হবে?

যে ব্যক্তির নিসাব পরিমাণ সম্পত্তির মালিক সে ব্যক্তি কে অবশ্যই কোরবানি দিতে হবে। আর এই কুরবানী দেয়ার জন্য অবশ্যই নির্দিষ্ট পশু বাছাই করতে হবে। তাই আপনারা যাতে কোরবানি দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পশু বাছাই করতে পারেন তার জন্য কোরবানির পশু কেমন হতে হবে তা সম্পর্কিত কিছু মাসআলা আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো-

১ নম্বর মাসআলা:

কোরবানির পশু  হবে না। যদিও  বন্য গরু, নীলগাই, গোয়াল এবং হরিণের মাংস হালাল কিন্তু যেহেতু এ রাবনে বসবাস করে সেহেতু এ ধরনের পশু দিয়ে কোরবানি করা বৈধ হবে না। তাই এ ধরনের পশু দিয়ে কোরবানি দেয়া যাবে না। ( বাদায়েউস সানায়ে ৫/৬৯)।

২ নম্বর মাসআলা:

কুরবানি দেয়ার জন্য মূলত ছয় ধরনের পশু ব্যবহার করা যায়। যেমনঃ গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, উট এবং দুম্বা। এছাড়া কোন কোন পশু দিয়ে কোরবানি দেয়া সহি হবে না। ( ফতোয়ায়ে কাজী খান ৩/৩৪৮; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৫; আল হিদায়া ৪/১৫০)।

৩ নম্বর মাসআলা:

গরু এবং মহিষ কোরবানি দেওয়ার ক্ষেত্রে গরু-মহিষের বয়স কমপক্ষে ২ বছর হতে হবে এবং এর কম হলে কোরবানি দেয়া জায়েজ হবে না। (সুনানে নাসায়ী ৪৩৭৮ হাদীস; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৫)।

৪ নম্বর মাসআলা:

ছাগল, ভেড়া এবং দুম্বা কোরবানি দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই তাদের কমপক্ষে এক বছর হতে হবে এবং তাদের বয়স যদি এক বছরের কম হয় তাহলে তাদের কোরবানি দেয়া জাহেদ হবে না। (সুনানে আবু দাউদ ২৭৯৯; সুনানে ইবনে মাজাহ ৩১৩৯ ; ফতোয়ায়ে কাযীখান ৩/৩৪৮)।

৫ নম্বর মাসআলা:

উট কুরবানি দেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই উট এর বয়স পাঁচ বছর হতে হবে। এরকম হলে উট কোরবানি দেয়া জায়েজ হবে না। (ইলাউস সুনান ৭/২৪৫; ফতোয়ায়ে কাযীখান ৩/৩৪৮)।

৬ নম্বর মাসআলা:

কুরবানি দেয়ার ক্ষেত্রে যে ৬ টি পশু নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে এই পশুগুলো অবশ্যই সুস্থ সবল এবং নির্ধারিত বয়সের হতে হবে। কুরবানি দেয়ার ক্ষেত্রে কোন অসুস্থ নির্ধারণ করা যাবে না এবং এই পশুগুলোর যদি কোনো খুঁত থেকে থাকে তাহলে সেই পশু গুলো নির্ধারণ করা যাবে না। (শামী ৬/৩২৩; আল বাহরুর রায়িক ৮/৩২৪; কাজী খান কাজীখান ৩/৩৫২; বাদায়েউস সানায়ে ৫/৭৫)।

ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি কুরবানী

ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিকে কুরবানী করার ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তির নিসাব পরিমাণ সম্পদ আছে কিনা তা জানা আবশ্যক।

যদি কোন ব্যক্তি কুরবানী করার সময় ঋণ পরিশোধ করে এবং তার সম্পদের নিসাব পরিমাণ না থাকে তাহলে ঐ ব্যক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে না। আর যদি ঐ ব্যক্তির কুরবানীর সময় নির্দিষ্ট ঋণ পরিশোধের পর নিসাব পরিমাণ টাকা থাকে, তাহলে ঐ ব্যক্তির উপর কুরবানী করতে হবে এবং তা ওয়াজিব হবে।

তবে কোনো মুসলমানের যদি নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে এবং তার কাছে ঋণের পরিমাণ সামান্য থাকে যা ঋণ পরিশোধের ফলে সম্পদের নিসাব পরিমাণে কোনো প্রভাব ফেলবে না, তাহলে সেই ব্যক্তির জন্য কুরবানী করা আবশ্যক হবে।

সুতরাং এক কথায় বোঝা যায় যে, যদি কোনো ব্যক্তির ঋণ থাকে যা সম্পদের নিসাব পরিমাণকে প্রভাবিত করে তাহলে সেই ব্যক্তির জন্য কুরবানী করা ওয়াজিব নয় এবং যদি সেই ব্যক্তির নিসাবের পরিমাণ সম্পদের ওপর প্রভাব না ফেলে তাহলে তাকে অবশ্যই কুরবানী করতে হবে। বলিদান

আমি আশা করি যে সকল মুসলিম ভাই ও বোনেরা যারা কুরবানী কর ফরজ 2022 সম্পর্কে জানতে চান তারা সঠিক উত্তর পেয়েছেন এবং জানেন যে কুরবানী মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করতে হবে এবং এটি একটি ইবাদত হিসাবে বিবেচিত হবে। কোরবানির আরও কিছু দিকও আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। আপনি যদি আমাদের কাছ থেকে কুরবানী সম্পর্কে আরও জানতে চান তবে আপনি আমাদের মন্তব্যে জানাতে পারেন। জায়াকাল্লাহু খাইরান।

Leave a Comment