অনলাইনে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চাই
ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম: আপনি কি ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে চান? একাউন্ট খোলার নিয়মাবলী সম্পর্কে জানতে চান?
যুগ যুগ ধরে, জীবিকা নির্বাহের তাগিদে মানুষের অর্থের প্রয়োজন হয়। পূর্বে অর্থের যোগানদাতা ছিল একমাত্র কৃষিকাজ। গ্রামের নিরীহ মধ্যবিত্ত কৃষকদের নিজের জমিজমা ছিলনা। তখন অর্থ সংকটে কৃষকরা তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য কৃষিকাজ করতেন। নিজের জমি ছিল না বিধায় অন্যের জমিতে কাজ করতেন।
যদি কৃষি কোন মুনাফা অর্জন করতেন তা আর কৃষকরা পেতেন না। মহাজনদের দিয়ে দিতে হত। আবার অনেকেই মহাজনদের কাছে কিছু টাকা সঞ্চয় করতেন।মহাজনরা সেই সম্পদের উপর ভিত্তি করে তাদের ঋণ প্রদান করতেন। অনেক ক্ষেত্রে মহাজনরা সম্পত্তি সহ কেড়ে নিয়ে তাদের নিঃস্ব করে তুলতেন। সেই সকল মহাজনদের কবল থেকে মানুষকে পরিএান দিতে আবির্ভাব হয়েছে ব্যাংকিং সুবিধার।
আরো পড়ুন: ইসলামী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট চার্জ।
সময়ের সাথে সাথে মানুষ আধুনিক হয়েছে। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে চাহিদাও বেড়েছে। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা সব সময় এক থাকে না। আজ যেমন ভালো, ঠিক তেমনি করে ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হতে পারে। আজ পুরো সংসার যার উপর নির্ভর করছেন কাল তিনি নাও থাকতে পারেন। শখের চাকরীটি আজ আছে কিন্তু কাল চলে যেতে পারে। জীবনে কোন কিছুই চিরস্থায়ী নয়। কোন ধরনের ভরসা থাকেনা।
তাই মানুষ তার জীবনের প্রয়োজনে,তার অর্থনৈতিক প্রয়োজনে, ভবিষ্যৎ জীবনের কথা মাথায় রেখে সঞ্চয় করতে চায়। একসময় মানুষ তেমন সঞ্চয় এর দিকে নজর দিত না।কিন্তু বর্তমানে মানুষ পূর্বের তুলনায় অনেক সচেতন হয়েছে।নিজের জন্য, নিজের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে আজকাল মানুষ সঞ্চয়ে মনোনিবেশ করেছে।
সঞ্চয় হল ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য আমানত স্বরূপ।মানুষ তাই নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করে, ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সঞ্চয় করে।একসময় মানুষ নিজের সংগ্রহে কিংবা মাটির ব্যাংকে অর্থ সঞ্চয় করতেন। কিন্তু নিজের সংগ্রহে সঞ্চয় করার কারণে তা কোন না কোন একসময় খরচ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া হঠাৎ প্রয়োজনে নিজের সংগ্রহে সঞ্চয়ের টাকা ছিল ভুলে যাবার সম্ভাবনা রয়েছেই!
- ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে?
- ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে?
- ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ধাপসমূহ
- অনলাইনে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
- ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট দেখার উপায়
- ইসলামী ব্যাংকের নীতিমালা
ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক পরিচালিত বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যাংকিং পরিসেবা হল ইসলামী ব্যাংক। ২০০৪ সালে পরিচালিত এই ব্যাংকটি সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষস্থানে পৌঁছেছে। প্রায় লক্ষাধিক গ্রাহক এই ব্যাংকের সেবা গ্রহণ করেছে। সম্পূর্ণ সুদ গ্রহণ বিহীন লেনদেন সুবিধার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এই ব্যাংকিং সেবার মধ্যে।
আপনি যদি ইসলামী ব্যাংক থেকে একাউন্ট খুলতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র সংগ্রহে রাখতে হবে।ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে আপনার যা যা লাগবে তা হল-
দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
জাতীয় পরিচয় পত্র/জন্ম নিবন্ধন/লাইসেন্স কপি।
শিক্ষার্থী হলে একাডেমিক কাগজপত্র।
অর্থের উৎস।
নমিনির আইডি কার্ড।
নমিনির ছবি।
একটি সচল মোবাইল নাম্বার।
ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ধাপসমূহ
ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে চাইলে আপনাকে কিছু ধাপসমূহ অনুসরণ করতে হবে।নিচে ধাপ সমূহ আলোচনা করা হল-
ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে চাইলে প্রথমে আপনাকে আপনার এলাকার নিকটবর্তী ইসলামী ব্যাংকের শাখায় উপরোক্ত কাগজপত্র সাথে নিয়ে যেতে হবে।
পরবর্তী এজেন্ট আপনাকে একটি ফরম দিবে।
আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের যাবতীয় তথ্যাদি দেখে ফরমটি পূরণ করতে হবে।
ফর্মটি পূরণ করলে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপএ যেমন ন্যাশানাল আইডি কার্ডের ফটোকপি,ছবি,নমিনি, নমিনির ছবি সহ সমস্ত কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম অনলাইনে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চাই
কাগজপত্রের সাথে আপনি যা একাউন্ট খুলতে চান তার জন্য বরাদ্দকৃত একটি চার্জ প্রদান করতে হবে।
এজেন্ট আপনার কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে আপনাকে একাউন্ট করতে সাহায্য করবে।
একাউন্ট খোলা হয়ে গেলে আপনার প্রদত্ত মোবাইল ফোনে একটি কোড আসবে।উক্ত কোডের আলোকে আপনার এটিএম কার্ড প্রদান করা।
অনলাইনে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
আপনি যদি অনলাইনে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চান তাহলে তা সম্ভব।আপনি ঘরে বসে নিজের তথ্যাদি পূরণ করে খুলতে পারেন ইসলামী ব্যাংকের একাউন্ট। অনলাইনে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম তুলে ধরা হল-
ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হলে সবার আগে আপনার মোবাইল ফোনে Cell fin নামে একটি এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন ডাইনলোড করে নিতে হবে।আপনাদের সুবিধার জন্য আমি এপ্লিকেশনটি লিংক দিয়ে দিচ্ছি।
উক্ত লিংক থেকে এপ্লিকেশন ডাইনলোড করে নিয়ে এপ্লিকেশন ওপেন করে নিতে হবে।এপ্লিকেশন ওপেন করে আপনাকে Open account অপশনে ক্লিক করতে হবে।
তারপর এপ্লিকেশনের পিন দিয়ে ক্লিক করলে একটি ফরম আসবে।
পেইজে যাবতীয় তথ্য দিয় ফর্মটি পূরণ করতে হবে।
ফরম পূরণ করে আপনি কি ধরনের অ্যাকাউন্ট বেছে নেবেন তা সিলেক্ট করতে হবে।
সিলেক্ট করার পর এন্টার বাটনে ক্লিক করলে একাউন্ট খোলা হয়ে গেছে।
একাউন্ট খোলা হয়ে গেলে আপনাকে আপনার এটিএম কার্ড কিংবা চেকবুক নেবার জন্য নিকটস্থ ব্রাঞ্চ সিলেক্ট করতে হবে।
ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট দেখার উপায়
আপনারতো ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম দেখা শেষ৷ এখন আপনি যদি আপনার ইসলামী ব্যাংক একাউন্টের ব্যালেন্স চেক করতে চান তাহলে আপনাকে নিচের নিয়ম অনুসরণ করুন :-
আপনি sms এর মাধ্যমে আপনার একাউন্টে ব্যালেন্সের পরিমাণ চেক করতে পারবে৷ তারজন্য আপনাকে আপনার মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখতে হবে-
IBB <space> BAL <space> Send to : 26969
উদাহরণঃ IBB BAL send 26969
আপনি চাইলে জিপি সীম থেকেও ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন। তার জন্য জিপি সিম থেকে টাইপ করে পাঠিয়ে দিতে হবে :-
IBB <space> BAL <space> Send to :16259
আপনি যদি বিদেশ থেকে ব্যালেন্স চেক করতে চান। তার জন্য আপনার মোবাইল অপশনে গিয়ে টাইপ করতে হবে।
IBB <space> BAL <space> Send to : +8801714006969
উদাহরণঃ IBB BAL send +8801714006969
আপনার একাউন্ট এ সর্বশেষ ৫ টি লেনদেন দেখতে হলে
IBB <space> STM <space> Send to : 26969
উদাহরণঃ IBB STM 26969
এছাড়াও আপনি Self Pin এপ্লিকেশন থেকে এপ্লিকেশন ওপেন করে সরাসরি চেক ব্যালেন্স অপশনে গেলে একাউন্ট চেক করতে পারবেন।
ইসলামী ব্যাংকের নীতিমালা
সকল ব্যাংক অবশ্যই ব্যাংকিং সেবা খাতে কিছু কিছু না কিছু নীতিমালা অনুসরণ করে। ইসলামী ব্যাংক তার ব্যতিক্রম নয়ম।
চলুন তাহলে জেনে আসি কি কি নীতিমালা অনুসরণ করে ইসলামী ব্যাংক :
ইসলামী ব্যাংকে লোন থেকে কোনো ধরণের সুদ গ্রহণ করা হয় না।
ইসলামী ব্যাংকের ব্যাংকিং সুবিধা ব্যবস্থা পুরোপুরি শরিয়াহ মোতাবেক পরিচালিত।
ইসলামী ব্যাংক তাদের চুক্তির নীতিমালা গ্রহণ করে থাকে।
ইসলামী ব্যাংক ঋণ প্রদানের আগে যাচাই বাছাই করে। তাদের নিয়ম নীতির বাইরে এর লোন সুবিধা গ্রহণ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
ইসলামী ব্যাংকে লোন দাতাকে লোন গ্রহীতা না বলে বিনিয়োগকারী হিসেবে বিবেচ্য করা হয়।
আপনি যদি আপনার ব্যক্তিগত অর্থ সঞ্চয়ের জন্য কোন ব্যাংক খুঁজে থাকেন তাহলে আপনি একাউন্ট খুলতে পারেন ইসলামী ব্যাংকে।এই ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের বিস্তর সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে।আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী কোন ধরণের একাউন্ট খুলতে চান তা বেছে নিতে পারবেন।
আরো পড়ুন: সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম.
উপসংহার: মানুষের ব্যক্তিগত,পারিবারিক কিংবা ব্যবসায়ের সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে আবির্ভাব হয়েছে ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনার।ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনার আলোকে আপনি আপনার সঞ্চয়ের অর্থ নিরাপদে যেমন রাখতে রাখবেন।ঠিক তেমনি কোন এক সময় সেই অর্থ আপনার কাজে লাগবে। বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর অনেক ব্যাংক চালু হয়েছে তার মধ্য অন্যতম হল ইসলামী ব্যাংক।
সময়ের সাথে অনেক গ্রাহক ইসলামি ব্যাংক গ্রাহকদের শতভাগ আস্থা অর্জন করেছে। অদূর ভবিষ্যতেও দেশের মানুষের ব্যাংকিং সেবা খাতে আস্থার প্রতিবিম্ব হয়ে উঠবে এই ব্যাংকটি। তাই আপনাদেরকে আজ ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম দেখানো হলো।
আপনি যদি ইসলামী ব্যাংকের অধীনে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে চান, তাহলে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে দেখেনিম ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে।
আজকের এই আর্টিকেলের সম্পূর্ণ আলোচনা করা হবে ইসলামী ব্যাংকের যে সমস্ত ভিন্ন ভিন্ন সেক্টর রয়েছে সেই সেক্টরে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে।
এছাড়াও বো ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডনাস টিপস হিসেবে থাকছে অনলাইনে ঘরে বসে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য।
- ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট এর প্রকারভেদ
- কারেন্ট ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট
- ইসলামী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট তৈরীর নিয়ম
- ইসলামী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট
- ইসলামী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা
- অনলাইনে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি
- ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট এর প্রকারভেদ
- ইসলামী ব্যাংকের অধীনে আপনি যদি একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে চান, তাহলে আপনি চাইলে ভিন্ন ভিন্ন তিন রকমের একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।
সেগুলো হচ্ছে.।
কারেন্ট অ্যাকাউন্ট।
সেভিংস একাউন্ট।
স্টুডেন্ট একাউন্ট।
উপরে উল্লেখিত তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ব্যাংক একাউন্টের ক্যাটাগরিতে তিনজন ভিন্ন ভিন্ন মানুষের জন্য প্রযোজ্য এবং কিভাবে আপনি এই অ্যাকাউন্ট খুলবেন সম্পর্কে এবার জেনে নিন।
কারেন্ট ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট
মূলত কারেন্ট ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট ব্যবসায়ীদের জন্য খোলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এই একাউন্টে কোন রকমের ইন্টারেস্ট প্রযোজ্য হবে না।
কারেন্ট ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহারকারীরা চাইলে প্রতিদিন আনলিমিটেড ট্রানজেকশন করতে পারবে এবং লেনদেন করতে পারবে।
মূলত কারেন্ট ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য কিংবা আপনার ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইসলামী ব্যাংকের অধীনে খোলা যাবে।
এবার তাহলে দেখে নিন কারেন্ট ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে যে সমস্ত রিকোয়ারমেন্ট এর প্রয়োজন হবে সেগুলো সম্পর্কে; অর্থাৎ এই একাউন্ট খুলতে কি কি লাগবে এই সম্পর্কে।
অনলাইনে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চাই একাউন্ট তৈরীর ডকুমেন্টসঃ
গ্রাহকের ভোটার আইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স পাসপোর্ট অথবা জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি।
গ্রাহকের ২ কপি সদ্য তোলা রঙ্গিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
নমিনির নির্বাচনকৃত ব্যক্তির একটি জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং এক কপি রঙিন ছবি।
আপনার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট বা ই টিন সার্টিফিকেট প্রযোজ্য হবে।
ডকুমেন্টস যদি সঠিক থাকে তাহলে আপনাকে একটি ফরম ফিলাপ করতে হবে এই ফর্মে ব্যাংক থেকে কালেক্ট করতে পারেন কিংবা তাদের অনলাইন শাখা থেকে কালেক্ট করতে পারেন।
আপনি চাইলে ডাইরেক্টলি নিম্নলিখিত লিঙ্ক থেকে একাউন্ট অপেনিং ফর্ম ডাউনলোড করতে পারেন এবং এটি প্রিন্ট আউট করার মাধ্যমে ফিলাপ করে নিকটস্থ ব্যাংকে জমা দিতে পারেন।
মূলত উপরে উল্লেখিত ফর্ম ডাউনলোড করার সে সেটি যথাযথভাবে ফিলাপ করে নেয়ার পরে প্রিন্ট আউট করে ব্যাংকে জমা দিলে আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি কাজ সম্পাদন হয়ে যাবে।
ইসলামী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট তৈরীর নিয়ম
তবে আপনি যদি ব্যবসায়িক একাউন্ট তৈরী করেন কিংবা ইসলামী ব্যাংক সেভিং একাউন্ট তৈরি করার ইচ্ছা করেন, তাহলে বিভিন্ন রকমের ডকুমেন্টস প্রদান করতে হবে অর্থাৎ আপনার অ্যাকাউন্টের প্রকারভেদে ডকুমেন্ট প্রদান করতে হবে।
ব্যবসায়িক একাউন্ট খোলার জন্য যা প্রযোজ্য হবে।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসঃ
গ্রাহকের ভোটার আইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স পাসপোর্ট অথবা জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি।
গ্রাহকের ২ কপি সদ্য তোলা রঙ্গিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
নমিনির নির্বাচনকৃত ব্যক্তির একটি জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং এক কপি রঙিন ছবি।
আপনার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট বা ই টিন সার্টিফিকেট প্রযোজ্য হবে।
এছাড়াও যা প্রয়োজন হবেঃ
আপনার প্রতিষ্ঠান যদি ট্রাস্ট হয় তাহলে ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠান দলিল বা এটি প্রমাণ এর কাগজ।
প্রতিষ্ঠান স্কুল-মাদ্রাসা বিশ্ববিদ্যালয় হলে ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশন থাকতে হবে।
প্রতিষ্ঠান লিমিটেড কোম্পানি হলে মেমোরেন্ডাম এন্ড আর্টিকেলস অব এসোসিয়েশন এর সত্যায়িত অনুলিপি।
উপরে মাত্র কয়েকটি ব্যবসায়িক একাউন্ট এর প্রকারভেদ বর্ণনা করা হলো এবার আপনার প্রয়োজন বেঁধে যে সমস্ত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য অ্যাকাউন্ট খুলতে চান সেই সমস্ত প্রতিষ্ঠান সঠিক দলিল পেশ করতে হবে।
যখন এই সমস্ত ডকুমেন্ট কালেক্ট করা সম্পন্ন হয়ে যাবে তখন আপনি ইসলামী ব্যাংক সেভিং একাউন্ট তৈরি করার যে একাউন্ট অপেনিং ফর্ম রয়েছে সেটি কালেক্ট করে নিতে পারেন।
উপরে উল্লেখিত লিংক থেকে ফর্মটি ডাউনলোড করে নিলে তার পরে এটি ফিলাপ করে প্রিন্ট আউট করুন এবং সমস্ত ডকুমেন্ট এর সমন্বয় এই ফর্ম ব্যাংকে জমা দিন।
মূলত উপরে উল্লেখিত ডকুমেন্টস নিয়ে আপনি যদি ইসলামী ব্যাংকে উপস্থিত হন, তাহলে খুব সহজে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন।
ইসলামী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট
আপনি যদি একজন ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ইসলামী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট তৈরি করতে পারেন।
মূলত এই ব্যাংকিং ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের উপকারে ব্যাংকে নিয়োজিত করার জন্য। এছাড়াও ইসলামী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট এর অনেক সুবিধা রয়েছে।
ইসলামী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা
আপনি যদি ইসলামী ব্যাংকের অধীনে একটি স্টুডেন্ট একাউন্ট তৈরি করেন তাহলে যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন, সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।
এটিএম চার্জ দিতে হবে না। অর্থাৎ বাৎসরিক এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে কোন চার্জ দিতে হবে না।
ইন্টারনেট ব্যাংকিং একাউন্ট তৈরি করার সুবিধা রয়েছে। মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে একাউন্ট তৈরি করা যাবে।
যে কোন শাখায় টাকা ট্রান্সফারের সুবিধা।
একদম স্বল্পমূল্যে ব্যাংক একাউন্ট তৈরী করার অফুরন্ত সুবিধা। ইত্যাদি।
মূলত একটি স্টুডেন্ট একাউন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে উপরে উল্লেখিত সুযোগ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
তাহলে এবার দেখে নিন একটি স্টুডেন্ট একাউন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে যে সমস্ত ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত।
স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্ট তৈরি ডকুমেন্টঃ
গ্রাহকের যদি এনআইডি কার্ড থাকে তাহলে এনআইডি কার্ডের ফটোকপি। না থাকলে জন্মনিবন্ধনের ফটোকপি।
২ কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রত্যয়ন পত্র কিংবা সর্বশেষ বেতন এর একটি স্লিপ।
যাকে নমিনি হিসেবে নির্বাচন করা হবে তার জন্ম নিবন্ধন কার্ডের ফটোকপি এবং এক কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
পিতা-মাতা অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
মূলত উপরে উল্লেখিত ডকুমেন্টের সহকারে আপনি যদি ইসলামী ব্যাংকের যে কোন একটি শাখায় উপস্থিত হন তাহলে একজন কর্মকর্তা আপনাকে একাউন্ট অপেনিং ফর্ম দিবে।
এবার আপনি যদি ওই একাউন্ট অপেনিং ফর্ম যথাযথভাবে ফিলাপ করে নেন তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট কয়েকদিনের মধ্যে সচল হয়ে যাবে। এবং আপনি এই একাউন্টের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন।
আশা করি ইসলামী ব্যাংকের অধীনে যে ভিন্ন তিনটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করার ব্যবস্থা রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জেনে নিতে পেরেছেন।
অনলাইনে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি
আপনি যদি চান তাহলে ঘরে বসে ইসলামী ব্যাংকের অধীনে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন। এতে করে কোন রকমের ভোগান্তি পোহাতে হবে না।
অনলাইনের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করার জন্য প্রথমত আপনাকে ইসলামী ব্যাংকের অধীনে তৈরিকৃত একটি অ্যাপস ডাউনলোড করে নিতে হবে।
এন্ড্রয়েড ফোনের জন্য তৈরিকৃত অ্যাপস টি নিম্নলিখিত লিংক থেকে ডাউনলোড করে নিন।
উপরে উল্লেখিত লিঙ্ক থেকে অ্যাপসটি ডাউনলোড করা সম্পূর্ণ হয়ে গেলে এই অ্যাপসটি ড্যাশবোর্ডে আপনি চলে যেতে পারবেন, সেখান থেকে রেজিস্ট্রেশন কার্য সম্পাদন করা যায়।
মূলত তার পরেই আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং আপনার ছবি তোলার মাধ্যমে step-by-step ব্যাংক একাউন্ট তৈরী করতে পারবেন।
এই সম্পর্কে পরিপূর্ণ এবং বিস্তারিত তথ্য জেনে নেয়ার জন্য নিম্নলিখিত ভিডিওটি দেখে নিন এবং অনলাইনে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট তৈরীর কাজ সম্পাদন করুন।
ইসলামী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট সুবিধা
আমরা অনেকেই অনলাইনে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চাই কিন্তু সঠিক নিয়ম না জানার কারণে অনেকেই ইসলামী ব্যাংক অনলাইন রেজিস্ট্রেশন (Islami Bank Bangladesh online account opening form) করতে পারছেন না। আর আপনার যারা এসকল সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তাদের জন্য আমার আজকের এই লেখা! আমরা জানি দেশের অধিকাংশ ব্যাংক একাউন্ট অনলাইন ভিত্তিক হয়ে উঠেছে এরই সুবাদে আপনার অ্যাকাউন্ট খুলতে এখন আর ব্যাংকে যাওয়ার দরকার পড়বে না! তেমনি আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
ইসলামী ব্যাংক অনলাইন একাউন্ট খুলতে হলে প্রথমে আপনাকে চলে যেতে হবে প্লে স্টোরে সেখান থেকে সার্চ করুন cellfin লিখে তাহলে আপনার সামনে সেলফিন অ্যাপসটি চলে আসবে। অথবা আপনি এই লিংক হতে সরাসরি প্লে স্টোর থেকে সেলফিন (cellfin) অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারেন।
cellfin অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস টি ইন্সটল করার পরে আপনি দেখতে পারবেন আপনার সামনে একটি লগইন ইন্টারফেস চলে আসবে। যেহেতু আপনি এখানে নতুন তাই আপনাকে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সেলফিন (cellfin) অ্যাপ্লিকেশনটি আপনি আপনার মোবাইল ফোন নম্বর এর সাহায্যে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। এর জন্য নিচে থাকা রেজিস্টার (register) লেখাতে ক্লিক করুন। দেখবেন আপনার মোবাইল নম্বরটি চাইছে। সেই ফাঁকা করে আপনি আপনার মোবাইল নম্বরটি প্রবেশ করান এবং নিচে থাকা অপশনগুলো হতে আপনার মোবাইল নম্বরের অপারেটরটি সিলেক্ট করুন। এরপরে ছয় সংখ্যার একটি পিন কোড দিতে বলবে আপনাকে পিন কোড দেয়া হয়ে গেলে সাবমিট অপশনে ক্লিক করুন!
ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট ফরম
সাবমিট অপশনে ক্লিক করার পরে আপনার মোবাইল নম্বর একটি ছয় সংখ্যার ভেরিফিকেশন কোড পাঠাবে তারা। এবং এপ্সটিতে আপনাকে সেই কোডটি দিতে বলবে। ফাঁকা ঘরে আপনার মোবাইল ফোনে আসা এসএমএসে থাকা কোডটি দিন এবং পরবর্তী ধাপে যান।
এরপরে তারা আপনাকে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটো দিতে বলবে। প্রথমে জাতীয় পরিচয় পত্র বা এনআইডির ফ্রন্ট পেজ এর ছবি তুলুন। এবং ছবিটি ক্রপ করে সাবমিট করুন এবং এরপরে ব্যাক সাইডের ছবি তুলে সাবমিট করুন।
ইসলামী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম
পরবর্তী ধাপে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ছবি সাবমিট করা হয়ে গেলে আপনাকে আপনার প্রফেশন অর্থাৎ আপনার পেশা সিলেক্ট করুন। পেশা সিলেক্ট করার পরে আপনাকে ফটো ভেরিফিকেশন করতে হবে। এর জন্য ওপেন ক্যামেরা সিলেক্ট করুন।
ক্যামেরা ওপেন হয়ে গেলে আপনি আপনার সামনে ক্যামেরাটি ধরুন। খেয়াল রাখবেন যেন আপনি যে স্থানে বসে ছবি তুলছেন সেখানে পর্যাপ্ত আলো থাকে তাহলে আপনার ফটো ভেরিফিকেশন করার সহজ হবে। তবে ফটো ভেরিফিকেশনের জন্য আপনি ছবি তোলার কোন বাটন পাবেন না শুধুমাত্র আপনার সামনে ক্যামেরা ওপেন হবে এবং আপনার মুখের সামনে ক্যামেরাটি ধরে আপনার চোখের দুই তিনবার পলক ফেলুন দেখবেন আপনার ফটো ভেরিফিকেশন হয়ে গেছে।
এরপরে তারা আপনাকে অ্যাপ্লিকেশনটির ভিতরে নিয়ে যাবে। এবার আপনার ব্যাংক একাউন্ট খোলার পালা। ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হলে অ্যাপ্লিকেশনের ভেতরে থাকা অপেন একাউন্ট (open A/C) অপশনে ক্লিক করুন। এবং আপনার সেলফিন একাউন্টের পিনটি দিন।
ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম
ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হলে আপনাকে কিছু তথ্য তাদেরকে দিতে হবে। এবং আপনি কোন ব্রাঞ্চে অ্যাকাউন্ট খুলবেন সেটি আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে। এছাড়াও একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে আপনাকে অবশ্যই একজন নমিনির ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে হবে। ব্যাংক একাউন্ট খোলার পূর্বে আপনি আপনার নমিনির একটি ছবি আপনার ফোনে করে রাখুন।
এরপরে আপনার সামনে একটি ফরম ওপেন হবে সেখানে আপনার পিতার নাম মাতার নাম এবং যাবতীয় তথ্য আপনাকে দিতে বলা হবে। আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী সকল তথ্য দিয়ে ফরমটি পূরণ করুন। এবং দেখুন কোথায় কোন ভুল রয়েছে কিনা তাহলে তার সংশোধন করে নিন! এরপরে নেক্সট (Next) অপশনে ক্লিক করুন। এরপরে আপনার সামনে একটি পেইজ আসবে যেখানে আপনি যে সকল তথ্য দিয়েছেন সেগুলো আবার দেখা যাবে আপনি আবার তা ভালোভাবে দেখে সাবমিট অপশনে ক্লিক করুন।
ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট চেক
সাবমিট অপশনে ক্লিক করা হয়ে গেলে দেখবেন আপনার সামনে কতগুলো অপশন আসবে যেখানে আপনি কোন ধরনের ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন সেগুলো দেখা যাবে যেমন আপনি যদি সেভিংস একাউন্ট খুলতে চান তাহলে সেভিংস একাউন্ট এ ক্লিক করুন। এবং নিচে আরও বিভিন্ন ধরনের অপশন রয়েছে সেখান থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী অর্থাৎ আপনি যে ধরনের ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চান তা সিলেক্ট করে দিন।
ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার ডিজিট
একাউন্টের ধরন সিলেক্ট করার পরে আপনাকে আপনার নমিনির তথ্য দিতে বলা। ফরমটিতে আপনি নমিনির নাম তার পিতার নাম এবং যাবতীয় তথ্য ও ঠিকানা দিন। এরপরে নিচে দেখতে পাবেন নমিনির ছবি এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের ছবি আপলোড করার দুইটি অপশন রয়েছে। ছবি এবং এনআইডি আপলোড করা হয়ে গেলে দেখুন যাবতীয় তথ্য সঠিক দিয়েছেন কিনা। যাবতীয় সকল তথ্য দেওয়া হয়ে গেলে আপনি নিচে থাকা নেক্সট বাটনে ক্লিক করুন।
নেক্সট বাটনে ক্লিক করা হয়ে গেলে দেখতে পাবেন আপনার একাউন্টের নমিনির যাবতীয় তথ্য গুলো আবার দেখা যাচ্ছে আপনি ভালভাবে দেখে নিন তথ্যগুলো সঠিক থাকলে কনফার্ম অপশনে ক্লিক করুন।
কনফার্ম অপশনে ক্লিক করা হয়ে গেলে আপনি আপনার ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নম্বর পেয়ে যাবেন। আপনার ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নম্বরটি আপনি সেভ করে রাখুন ভালো জায়গায়। অথবা একটি ডায়েরিতে লিখে রাখতে পারেন।।
একাউন্ট খোলা হয়ে গেলে আপনার একাউন্টে লেনদেন এর জন্য উপযুক্ত হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা সকলেই জানি ব্যাংকের লেনদেনের জন্য চেক বই বা এটিএম কার্ডের প্রয়োজন বলে। এবং এই এটিএম কার্ড চেক বই সংগ্রহ করতে হলে আপনাকে আপনার নির্ধারিত ইসলামী ব্যাংকের ব্রাঞ্চ এ যোগাযোগ করুন। আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এবং অ্যাকাউন্ট নম্বর নিয়ে ব্যাংকে যান এবং আপনার অ্যাকাউন্টে ডিপোজিট করুন আপনার পছন্দমত অর্থ। এবং দেখবো এবং যদি আপনার এটিএম কার্ডের দরকার পড়ে তাহলে কার্ডের জন্য আবেদন করে আসুন। তাহলেই আপনার সব কাজ শেষ এবং ইচ্ছামতো লেনদেন করতে পারবেন আপনার ইসলামী ব্যাংকের অনলাইন একাউন্টের মাধ্যমে।
এছাড়াও এই সেলফিন অ্যাপের মাধ্যমে আপনি আপনার ইসলামী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট এর যাবতীয় লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবেন।
দেশের সকল মানুষের হাতে ব্যাংকিং সেবা পৌছে দেওয়ার জন্য ইসলামী ব্যাংক ইতিমধ্যে তাদের সেলফিন এপের মাধ্যমে ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুবিধা নিয়ে এসেছে । জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলেই খুব সহজেই ঘরে বসে একাউন্ট মোবাইল দিয়ে একাউন্ট খোলা সম্ভব । সেলফিন একাউন্ট ঢুকে সেখান থেকে Open A/C অপশনে ক্লিক
করলে সেলফিন একাউন্টের পিন দিয়ে Submit বাটনে ক্লিক করতে হবে ।
এর পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের একাউন্টের প্যাকেজ দেখতে পারবেন । অনলাইনে ইসলামী ব্যাংকের বর্তমানে ৪ ধরনের একাউন্ট খোলা যায়, নিজের পছন্দ মত একাউন্ট খুলতে পারবে সবাই । তবে আজকে সেভিং একাউন্ট খুলেই দেখাতে যাচ্ছি । আপনি যদি শিক্ষার্থী হোন হবে Student Mudaraba Saving Account খুলতে পারেন । আর সাধারণ কোন পারসন হয়ে থাকলে Mudaraba Saving Account খুলতে পারেন । নিজের পছন্দ অনুযায়ী একাউন্ট টাইপ Select করে নিন ।
এর পরবর্তীতে নমিনীর জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্ট অনুসারে প্রতিটি ঘর পূরণ করতে হবে ।
নমীনির জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্ট ছবি উঠিয়ে আপলোড করতে হবে । নমীনি যে কাউকেই দেওয়া যাবে, তবে নিকটবর্তী আত্মীয়দের দিলেই ভাল হয় ।
সব ঘর পূরুন হলে একদম নিচে Next বাটনে ক্লিক করলেই একাউন্ট খোলা হয়ে যাবে । একাউন্ট একটিভ হতে ৭২ ঘন্টা সময় লাগতে পারে ।
ইসলামী ব্যাংক ঋণ নাকি সুদ মুক্ত ঋণের বিকল্প নিন আপনিও
আর যদি চেক বই, ATM Card ইস্যু করতে হয় তাহলে যেই ব্রাঞ্চ সিলেক্ট করে একাউন্ট খোলা হয়েছে সেই ব্রাঞ্চে যেতে হবে । যার একাউন্ট তাকেই যেতে হবে , অন্য কেউ গেলে হবে না । যাওয়ার সময় কিছু পেপারস নিয়ে যেতে হবে :
১) একাউন্ট ধারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি ও পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি ।
২) নমীনির জাতীয় পরিচয়পত্রের/পাসপোর্ট অনুলিপি ও পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি ।
৩) ইউটিলিটি বিলের কপি ( অর্থাৎ একাউন্ট ধারীর বাসার গ্যাস বা পানি বা বিদ্যুৎ বা টেলিফোন বিলের কপি । ইউটিলিটি বিলের কপি যে একাউন্ট ধারীর নামে থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই ।
NB : ইন্টারনেট ব্যাংকিং একদম ফ্রী । তবে SMS ব্যাংকিং এর জন্য চার্জ কাটা হয় ।
যারা জানেন না সেলফিন একাউন্ট কিভাবে খুলতে হয় , এখানে ক্লিক করে একাউন্ট খোলার নিয়ম দেখে নিন ।