চা বাগানের উপ -ব্যবস্থাপককে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।



মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ঢাকা থেকে আসা ছাত্রলীগ নেতাদের ছবি না তোলার জন্য স্থানীয় জেরিন চা বাগানের উপ -ব্যবস্থাপককে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে চা বাগানের শ্রমিকরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে এবং পাশের গ্র্যান্ড মুবিন রিসোর্টের চারটি কক্ষ ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রাধানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় উভয় পক্ষের প্রায় ১৫ জন আহত হয় এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।

আহতরা হলেন মামুন মিয়া (২)), অঞ্জলি (২৫), ছন্দা সাবর ()৫), বিশ্বমনি রিক্যশন (২)), পারুল বেগম ()০), ভারতী সাঁওতাল ()০), অনিতা গোয়ালা ()০) এবং আলো। মনি বড়ই (২৫), শ্রুতি সাংমা ()০), মুসলিম মিয়া (২০), উত্তম গড়াই (২৫), আবদুল কাদির (২ 26), ইন্দ্রজিৎ দাস (২৫) এবং Dhakaাকা থেকে ছাত্রলীগ নেতা মো। রাফি (২)) এবং মো। রাসেল মিয়া (26)

গ্র্যান্ড মুবিন রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলছেন,ঢাকা মহানগর (উত্তর) ছাত্রলীগের সভাপতি। ইব্রাহিম হোসেন এবং ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের ১ 16 জন নেতাকর্মী বুধবার রিসোর্টে আসেন। রাত সাড়ে এগারোটার দিকে, তারা রিসোর্টের পাশে জেরিন চা বাগানের 9 নম্বর সেকশনের কলাবন এলাকার ছবি তুলছিল। এ সময় ওই এলাকায় কর্মরত নারী চা শ্রমিকরা তাদের ছবি তুলতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে নেতাকর্মীরা শ্রমিকদের সঙ্গে ঝগড়া করে। পরে হামলার ঘটনা ঘটে।

গ্র্যান্ড মবিন রিসোর্ট পরিদর্শন করে দেখা যায়, রিসোর্টের চারটি কক্ষের আসবাবপত্র, দরজা -জানালা ভেঙে গেছে। রিসোর্টের সিসিটিভি ক্যামেরা, টেলিভিশন, পানির পাইপ এবং ফুলের টব ভেঙে ফেলা হয়েছে। বাড়ির ভিতরে রান্না করা খাবার আছে।

রিসোর্টের মালিক আবদুল মুবিন বলেন, ‘সমস্যা হলো এটা হয়েছে। কিন্তু আমার এভাবে রিসোর্টে হামলা করা উচিত হয়নি। এখানে চা বাগানের শ্রমিকদের আক্রমণের ফলে আমার রিসোর্টের অনেক মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। আমি কিভাবে এই ক্ষতি পূরণ করতে পারি?

‘সেলিমরেজা, চা বাগান ম্যানেজার বলেন, “নারী শ্রমিকদের অবলম্বন পাশে চা বাগানের চা পাতার অবচয় হয়। এ সময় Dhakaাকা থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চা বাগানে ঢুকে মহিলাদের ছবি তুলছিলেন। চা-বাগানের শ্রমিক এবং আমাদের ডেপুটি ম্যানেজার। আলী তাদের ছবি তুলতে নিষেধ করলে তারা ডেপুটি ম্যানেজারকে অপমান করে। তারা বলল, এটা একটা সরকারি 


জায়গা, আমরা যখন ছবি তুলি তখন তুমি কি করো? ডেপুটি ম্যানেজার বারবার তাদের নিষেধ করলে তারা উত্তেজিতভাবে কথা বলা শুরু করে। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তারা আমাদের ডেপুটি ম্যানেজারের দিকে হাত দেয়। তিনি যখন রিসোর্টে টেনে নিয়ে যেতে চান, চা বাগানের শ্রমিকরা তাকে বাধা দেয়। ছাত্রলীগ কর্মীরা যখন মহিলা কর্মী এবং উপ -ব্যবস্থাপককে আক্রমণ করে, তখন শ্রমিকরা ক্ষোভে রিসোর্টে চলে যায় যখন শ্রমিকরা চা বাগানে পাগল ঘণ্টা বাজায়। পরে আমরা শ্রমিকদের শান্ত করে বাগানে নিয়ে আসি।

‘ইব্রাহিমহোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন সাংবাদিকদের, “সেখানে চা বাগানের ছবি তোলার সম্পর্কে স্থানীয় চা শ্রমিকদের সাথে একটু ঝগড়া ছিল। পরে স্থানীয়রা এসে সমাধান দেন। এটি আসলে একটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে। কেউ আমাদের আক্রমণ করেনি। আমরা কাউকে মারধর করিনি।

মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো। জাকারিয়া বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। এখানে ছবি তুলতে একটু ঝামেলা হয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে পুলিশ। রিসোর্টের সামান্য ক্ষতি হয়েছে।


Leave a Comment