টিকটক থেকে টাকা ইনকাম ২০২২ || টিকটক একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২২

টিকটক থেকে টাকা ইনকাম ২০২২

টিকটক থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়?
যাইহোক, আমি টিকটক সম্বন্ধে আলোচনা করছি। আর এর জন্য অনেকেই আমার উপর প্রতি অনেক বেশি রাগান্বিত। এবং আমি জানি যে, অনেকে বলবেন কেন টিকটক নিয়ে আলোচনা করছি! কারন টিকটক একেবারেই ভালো কোন প্ল্যাটফর্ম না। টিকটকের ব্যাপক অপকারিতা আছে। এবং এর মধ্য দিয়ে মানসিক প্রতিবন্ধকতার বিরল উদাহরণ পাওয়া যায়। তবে আজকে আমরা টিকটক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়  সম্পর্কে জানব।

টিকটক থেকে ইনকাম ২০২২

যাইহোক, টিকটক একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। এর অনেক বেশি ফলোয়ার ও ফ্যানবেজ আছে। তাই টিকটক থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম হয়? এ ব্যাপারে খোলাসা আলোচনা করবো। কারো যদি এ ব্যাপারে কৌতুহল থাকে, তাহলে আজকে আপনার কৌতুহল পূরণ হয়ে যাবে।

Tik Tok প্ল্যাটফর্ম কেন জনপ্রিয়?

প্রথমত, টিকটকে মানুষের প্রচুর ইন্টারেস্ট বা আগ্রহ আছে। অর্থাৎ এপটির প্রতি এখনকার সময়ের ছোট-বড়, টিনেজার, বৃদ্ধ মোটামুটি সকল স্তরের মানুষ আকৃষ্ট। এছাড়া টিকটকে অসংখ্য কনটেন্ট আছে, যা গুনে শেষ করা যাবেনা। 
আর অবশ্যই টিকটকের ভিডিও গুলো কাউকে আকৃষ্ট করার জন্য খুবই কার্যকরী। এই ভিডিওগুলো সময় ৫ মিনিটের বেশি হয় না। যার কারণে মানুষের আগ্রহ সহজেই হারায় না।
প্রথমত যে কনটেন্ট তৈরি করে, সে রীতিমতো পাগল করার মত ভিউ পায়। ধরুন, আপনি আজকে একটি শর্ট ভিডিও তৈরি করে টিক টকে পাবলিশ করলেন। তাহলে রীতিমতো ভালো ভিউ পাবেন। এবং প্রতিনিয়ত পাবলিশ করলে হয়তো কোনো একটি ভিডিও রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যেতে পারে।
ঠিক একই ব্যাপার ইনস্টাগ্রামেও কিছু বছর পূর্বে হতো। কিন্তু বর্তমান ইনস্টাগ্রামের অনেক বেশি কদর বেড়ে গেছে। এবং সেখানে ফলোয়ার পাওয়া বর্তমানে কঠিন।

টিকটিকে টাকা ইনকাম ও সেলিব্রেটি হতে আগ্রহী কারা?

সাধারণ লোকেরাই এই অ্যাপটির প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। বিশেষ করে যারা টিনেজার অথবা কিশোর বয়সে আছে তাদের জন্য ব্যাপারটি সত্যি। 
কিশোর-কিশোরীরাই টিকটকের প্রতি বেশি আকৃষ্ট। আপনি পুরো পৃথিবীর একটি সামগ্রিক চিত্র দেখেন টিনএজারদের আগ্রহ টিকটকের মত প্ল্যাটফর্মগুলোতে খুব বেশি। 
কারণ এখন সবাই চায় রীতিমতো হাজার হাজার, লাখ লাখ ফলোয়ার পেতে। টিকটক আপনাকে সহজেই ছোটখাটো সেলিব্রেটি হয়ে করে দিতে পারে।
এছাড়া অনেকেই মনে করেন, ইনস্টাগ্রামে অসংখ্য ফলোয়ারের প্রয়োজন টাকা আয় করার জন্য। যারা টিকটকে আয় করতে আসে, তারা মনে করে টিকটকে ভালোমতো ভিউ পাওয়া গেলেই রীতিমত ইনকাম শুরু হয়ে যাবে। ব্যাপারটা সেরকম না। আপনি যত বেশি ফলোয়ার হোল্ড করুন না কেন, টিকটক থেকে Low- Medium ইনকাম পাবেন। 

ইন্সটাগ্রাম বনাম টিকটকঃ ইনকাম পদ্ধতির তুলনা।

আর অনেকেই ভাবে ইনস্টাগ্রামে স্পন্সরড, কন্টেন্ট মার্কেটিং সহ অনেক বেশি ঝামেলায় পড়তে হয়। এবং সেখান থেকেই মূলত ইনকাম করতে হয়। কিন্তু ইন্সটাগ্রামে বিপরীতটা হয়।
অথচ যদি ইনস্টাগ্রামের দিকে তাকাই, তাহলে এটি এমন একটি মার্কেটিং টুল। যা বেশিরভাগ ব্যবসায়ের জন্য প্রযোজ্য। আর ইনস্টাগ্রামে কিন্তু এত বেশি ফলোয়ার এর প্রয়োজন নেই। আপনার এমন সব ফলোয়ারের প্রয়োজন, যারা আপনার সাথে engaged!
টিকটকে রীতিমতো সস্তা বিনোদন দিয়ে ভিডিও বানিয়ে ভাইরাল হওয়া সম্ভব। কিন্তু ইন্সটাগ্রাম এর ব্যাপারটা সম্পূর্ণ বিপরীত। ইনস্টাগ্রামে কয়েক বছর লেগে থেকে আপনি নিজের মন মত ফলোয়ার পাবেন। টিকটকে সেটা সস্তা বিনোদনের মাধ্যমেই পাওয়া যায়।

আর এমন অনেকেই আছে। যারা টিকটকের প্রবেশ করছে টাকা আয় করার লোভে। 

যাইহোক টিকটক প্লাটফরমটি আমার ভাষ্যমতে ইনস্টাগ্রাম থেকে খুব দ্রুতই শক্তিশালী হয়ে যাবে। পাশাপাশি ইউজারের পরিমাণ দেখে মনে হচ্ছে খুব বড় একটি প্লাটফর্ম হয়ে গেছে। এবং টিকটক থেকে কিভাবে টাকা আয় হয়? তা সম্বন্ধে আমাদের আজকের এই ব্লগ। কাজেই দেরি না করে, চলুন শুরু করছি। 

টিকটক থেকে টাকা আয় করার ৬টি সহজ উপায়।

#1: টিকটক একাউন্ট উন্নত(Grow) করুন এবং বিক্রি করুন।
টিকটক থেকে ইনকাম করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলঃ রীতিমতো কতগুলো অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। একটি একাউন্টের সাথে আরেকটা একাউন্টে লিংকিং করে দেন। যাতে একজন ফলোয়ার আপনার একটি একাউন্টে যখন ভিউ করে, পাশাপাশি অন্য একটি একাউন্টের প্রমোট করুন। 
আর এর মাধ্যমে ওই অ্যাকাউন্টেও নিজেদের ফলোয়ারদের কে টেনে নিন। পরিশেষে, অনেকগুলো একাউন্ট ব্যবহার করে সেগুলোতে ফলোয়ার জোগাড় করুন। এখন একাউন্ট গুলো খুব সহজে বিক্রি করতে পারবেন।
আর টিকটক একাউন্ট, যেখানে ভালো ফলোয়ার আছে। ভিউও বেশি হয়। সেগুলো বিক্রি করা সহজ। আর সেগুলো ক্রয় করার জন্য যথেষ্ট মানুষ আছে। বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও আছে। যারা খুব বেশি পরিমাণ ফলোয়ারের টিকটক একাউন্ট ব্যবহার করতে চায়।
অর্থাৎ এই পদ্ধতিতে ই-কমার্স কিংবা প্রোডাক্ট স্পেস সেক্টরে খুব সহজ ভাবে ব্যাবহার করা সম্ভব। 
সম্পূর্ণ ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট এর মতই আপনি নিচের টিকটক একাউন্ট এর যেকোনো একটি নিস সিলেক্ট করুন। সে নিশের উপর যথারীতি ভিডিও তৈরি করুন। আর আমরা জানি, টিক টকে আসলেই এন্টারটেইনমেন্ট করার মত অনেক নিশ আছে। 
সে নিশের উপর কাজ করতে থাকুন। একটা সময় যখন ফলোয়ার পাবেন। ভালোমতো ভিউ আসবে। সাথে সাথে সে অ্যাকাউন্ট চড়া দামে বিক্রি করতে পারেন। 
কোনো একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কাছে আপনার একাউন্টটি নিশ্চয় ভালো হবে। সাথে ফলোয়ারদের সাথে সাইটের engagement যত বেশি হবে, একাউন্টের মূল্যও তত বেশি হবে। 
ফুড এন্ড হবি নিশের ভিডিওতে বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর ব্যবহারও নিয়ে আসতে পারেন। এবং সেগুলোতে বিভিন্ন ব্যবসায়িক পণ্যের প্রমোট হয়ে যায়।
এমন অসংখ্য লোক আছে, যারা টিকটক একাউন্ট তৈরি করছে। টিকটক একাউন্ট গুলোকে উন্নত করছে। ভালো ফলোয়ার পাচ্ছে এবং সেগুলো পরিশেষে বিক্রি করে দিচ্ছে। আর এভাবে সে তারা সহজে ইনকাম করতে পারছে। 
ধরুন, যদি নিজের অসংখ্য ফলোয়ার থাকে। ঐ অ্যাকাউন্ট একটি ব্র্যান্ডের কাছে বিক্রি করলেন। ঐ প্রোডাক্ট ব্র‍্যান্ডটি বেশ উপকৃত হবে। 
তার কারণ তারা চাইলে এই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে উপযুক্ত নিশ অনুযায়ী নিজেদের প্রোডাক্ট প্রমোট করতে পারবে। সেগুলো নিয়ে বিভিন্ন মজাদার ভিডিও তৈরি করে কাস্টমার ও  ভিজিটরদের আকর্ষণ করতে পারবে।।
অপরদিকে আপনার নিশ্চয়ই জানেন, টিকটক লাইভে গিয়ে অনেকেই প্রোডাক্ট বিক্রি করে। লাইভ স্ট্রিম এর মধ্য দিয়ে তাদের প্রোডাক্ট লঞ্চ করে এবং সেগুলো প্রমোট করে।
আপনার বায়োতে চাইলে প্রোডাক্ট এর লিংক এড করতে পারেন। অথবা নিজের ওয়েবসাইট এড করতে পারেন। যাতে করে ট্রাফিক সেখানে ড্রাইভ করাতে পারেন।
যদি আপনি এমন ব্যক্তি হোন, যে কিনা টিকটক ব্যবহার করতে ভালোবাসে। তাহলে অবশ্যই টিকটক করে যান। এবং সেখানে চাইবেন মানসম্মত কন্টেন্ট তৈরি করার। শর্ট কনটেন্ট এর মধ্যেও কিন্তু ভালো শিক্ষা দেয়া যায়। বা ভালো ভিডিও তৈরি করা যায়। যেগুলো সুস্থ বিনোদন দেয়। য়
আর এর মাধ্যমে চাইলে নিজের একটি ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারেন। নিজের টিকটক একাউন্ট ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারেন।

#2: ডোনেশন : In-Built মনিটাজেশন। 

টিকটক থেকে টাকা ইনকাম করার দ্বিতীয় উপায় হল ডোনেশন। টিকটক থেকে আপনি লাইভে গিয়ে ডোনেশন সংগ্রহ করতে পারবেন, নিজের ভিজিটর দের কাছ থেকে। যেমনটা টুইচ এর মত প্লাটফর্মে হয় আরকি।
এটি হলো একটি built-in মনিটাইজেশন সুবিধা। একপ্রকার মনিটাইজেশন, যেখানে আপনাকে আপনার অডিয়েন্সেরা টাকা ডোনেট করতে পারবে।
যদি আপনি একজন টিকটক ইউজার হন। তাহলে আপনি নিশ্চয়ই জানেন, নিজের প্রোফাইলে গিয়ে আপনি চাইলে কয়েন কিনতে পারবেন।
প্রতি হাজার কয়েনের মূল্য দাঁড়ায় 1.39 ডলার।
এসব কয়েন দিয়ে কি হয়?
আমি ধরে নিলাম, আপনার কোনো ফেভারিট বা পছন্দের ক্রিয়েটর আছে। সেই টিকটক ক্রিয়েটর কে আপনি ধন্যবাদ জানাতে যাচ্ছেন। স্টিকার পাঠাতে চাচ্ছেন অথবা নিজের ফিলিংস গুলো টিকটক একাউন্ট সেলিব্রেটির কাছে প্রকাশ করতে চাচ্ছেন।
এর জন্য আপনাকে কোন স্টিকার, টেক্সট নিতে হবে। আর সেগুলো আপনি কয়েন এর মাধ্যমে ক্রয় করতে পারেন। বিভিন্ন টিকটক ইউজাররা এগুলো করে।

টিকটকের ক্রিয়েটর সে কয়েন দিয়ে কি করে?

যখন কেউ কয়েন ব্যবহার করে কাউকে স্টিকার পাঠায়। তখন টিকটকার সেই কয়েন নিতে পারে। এবং তার মাধ্যমে ডায়মন্ড ক্রয় করতে পারে। আর ডায়মন্ড পরিশেষে ক্যাশে পরিণত করা যায়। যা পেপালের মাধ্যমে উইথড্র করে নেয়া যায়।
#3: একটি ক্যাম্পেইন তৈরি করুন। উদ্যোক্তা হোন।
টিকটক থেকে টাকা আয় করার তৃতীয় উপায় নিজে উদ্যোক্তা হয়ে ক্যাম্পেইন তৈরি করুন।
এটা কোন নতুন আইডিয়া না। ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, ইউটিউব সহ অন্যান্য জায়গায় এরকমটা হয়। ধরুন, আপনি একজন টিকটকার আর এমনকি সফল হয়ে গিয়েছেন। 
এখন টিক টক এ কিভাবে সফল হওয়া যায়? তা নিয়ে কোনো একটি ক্যাম্পেইন তৈরি করতে চাচ্ছেন। আপনি চাচ্ছেন যে, উদ্যোক্তা হয়ে কাজ করতে। এতে করে  লোকেদের শিখাতে পারেন কনটেন্ট তৈরির ব্যাপারে।
আর এভাবে ক্যাম্পেইন তৈরি করে তাদের থেকে যথাযথ ফি নিয়ে সেখান থেকে আয় করতে পারেন।
এর জন্য বিভিন্ন ইউজারদের সাথে আপনাকে অনেক বেশি ফ্রেন্ডলি হতে হবে। তাদেরকে টিকটক প্লাটফর্মে আনতে হবে। টিকটকে সফল হওয়ার উপায় গুলো জানাতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন ক্যাম্পেইন, বিভিন্ন ফ্যান মিটিং অ্যারেঞ্জ করতে পারেন। সেগুলো থেকে ইনকাম আসে।
#4: টিকটক এড মনিটাজেশন করে আয়। 
টিকটক থেকে আয় করার চতুর্থ উপায়টি হলো টিক টক এডস প্লাটফর্ম।
আমরা সবাই গুগল, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম অ্যাপ সম্বন্ধে পরিচিত। তাদের মতো করে টিকটক প্ল্যাটফর্মেও টিকটক অ্যাডস এসেছে। আপনাকে টিকটক আইডি দিয়ে সাইন আপ করতে হবে। এবং নিজের একাউন্টে তাদের অ্যাড অ্যাক্সিস করাতে হবে।
এবং সেই এডভার্টাইজিং এর মাধ্যমে আপনি নিজে চাইলে ইনকাম করতে পারবেন।
#5: টিকটক ম্যানেজমেন্ট। 
টিক টক এর মাধ্যমে নিজের ওয়েবসাইট, প্রতিষ্ঠান যেকোনো সোশ্যাল একাউন্ট প্রমোট করতে পারেন। সেগুলোর লিংক নিজের বায়োতে দিয়ে রাখলে তা থেকে ট্রাফিক ড্রাইভ হবে সেগুলো আপনার ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ অথবা ইউটিউব একাউন্টে গেলে সেখান থেকে আয় হবে। এবং একটি মাধ্যমের ওপর নির্ভর করে অন্য মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।
তাছাড়া টিকটকের ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস আছে। সে ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস এ কাজ করে ইনকাম করা যায়।
আপনি টিকটক ক্রিয়েটর অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসে অংশগ্রহণ করে টাকা আয় করতে পারেন খুবই সহজেই।

#6: অন্যের টিকটক একাউন্ট প্রমোট, পেইড কন্টেন্ট তৈরি। 

আমি ধরে নিলাম আপনি একজন ক্রিয়েটর। এবং আপনার কয়েক হাজার কিংবা লাখের মতো ফলোয়ার আছে। এখন আপনি চাইলে বিভিন্ন টিকটকার দের সাথে নিয়ে ভিডিও তৈরি করে তাদেরকে প্রমোট করতে পারেন। 
অথবা তাদের সাথে ভিডিও তৈরি করে তাদের চ্যানেলকে সমৃদ্ধ করতে পারেন। আর এইভাবে মূলত ইনকাম করা যায়। যেকোনো নতুন টিকটকার আপনার সাথে কন্টাক্ট করতে পারে তার জন্য একটি ভিডিও তৈরি করে দিতে। 
অথবা তার সাথে একটি ভিডিও তৈরি করতে। আর এভাবে আপনি টাকার বিনিময়ে তার সাথে ভিডিও তৈরি করতে পারেন। আর এভাবে তার চ্যানেল ও টিকটক একাউন্ট প্রমোট হবে। এবং সেও ভালো ভিউ পাবে।
শেষকথাঃ
টিক টক এর ব্যাপারে কিছু বলতে চাচ্ছি। দেখুন, আমার কথাগুলো সত্যি হয় কিনা? প্রথমত আমি কয়েক মাস কিংবা বছর যাবত ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করছি। সেখানকার ধারা ও টিকটকের ধারা সম্বন্ধে কিছুটা আলোকপাত করি।
আমি যেটা দেখি, ইনস্টাগ্রামের স্টোরি এবং টিকটকের ভিডিও অনেকটা একই রকমম আপনি টিক টক এ ভিডিও শেয়ার করতে পারেন। 
কিন্তু ইনস্টাগ্রামে স্টোরি 24 ঘণ্টার বেশি অ্যাভেলেবল থাকে না। যেটা টিক টক এ চিরস্থায়ী হয়ে থাকে। যার কারণে টিকটকের এটি একটা সুবিধা। 
টিকটক ইউটিউব এর সিমিলার। আপনিও এখানে ভিডিও করতে পারেন, লাইভ করতে পারেন। এবং তা কয়েক মাস পরে করতে পারেন। একিভাবে টিক টক এ ভিডিও করতে পারেন। এবং খুব ভালোভাবেই টিকটক থেকে প্রডাক্ট প্রমোট করানো যায়।
কিছু কিছু লোক খুবই কম ফলোয়ার থাকা সত্ত্বেও টিকটক এ ভিডিও তৈরি করে হঠাৎ মিলিয়ন ভিউ নিয়ে আসে। কারণ টিকটকের অ্যালগোরিদম অনুযায়ী হয়ত ভিডিওটি উপরে চলে এসেছে। যার কারণে খুব বেশি ভিউ নিতে পেরেছে।
টিকটক হতাশাজনকভাবে খুব বড় প্লাটফর্ম তৈরি হতে যাচ্ছে। কিন্তু টিকটকের ব্যবহৃত ভিডিওগুলো বেশিরভাগ অসুস্থ বিনোদনের উদাহরণ। তাই আমি আশা রাখবো টিক টক এমন ভিডিও তৈরি করা হয়, যেগুলো কোনো প্রকারের অযৌক্তিক বিনোদন দিবে না।টিকটক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জানলাম।
যদি ভালো লাগে, মিনতি রইল শেয়ার করে দিন নিজের ফেসবুক আইডিতে। নয়তো পোস্টের লিংক কপি করে নিন। এতে করে শেয়ার করা সহজ হবে৷ আমরা নিয়মিত লেখালেখি করি। কাজেই সাথেই থাকবেন। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ!!
২০২১ সালে সবচেয়ে অধিক ভিজিট হওয়া ওয়েবসাইট ছিলো টিকটক। সার্চ জায়ান্ট গুগলকে রীতিমতো পেছনে ফেলে দিয়েছে এই জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্মটি। বিশ্বব্যাপী কম দৈর্ঘ্যের কনটেন্টের জনপ্রিয়তার পেছনে টিকটক বিশাল ভূমিকা রেখেছে।
যে হারে টিকটক দিনদিন আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, মনে হয়না শীঘ্রই এই অ্যাপের জৌলুস কমতে চলেছে। অনেকে টিকটক অ্যাপ ব্যবহার করলেও একাউন্ট না থাকার কারণে এতে ভিডিও পোস্ট করতে পারেন না। এই পোস্টে আমরা জানবো কিভাবে টিকটক একাউন্ট খুলতে হয়।

টিকটক এর ফিচারসমূহ

টিকটক অ্যাপ অসংখ্য মজার ফিচারে ভর্তি। টিকটক একাউন্ট খোলার আগে টিকটক এর বেসিক ফিচারসমূহ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ভিডিও আপলোডিংঃ ফোনের স্টোরেজে সেভ থাকা ভিডিও টিকটকে পোস্ট করা যায়।
ভিডিও এডিটিংঃ ইতোমধ্যে রেকর্ড করা ভিডিও, কিংবা তৎক্ষণাৎ রেকর্ড করা ভিডিও সরাসরি টিকটক অ্যাপ থেকে এডিট করা যায়। মিউজিক লাইব্রেরী ও অসাধারণ সব ইফেক্টসে ভর্তি টিকটক অ্যাপ।
ফিল্টার ও ইফেক্টঃ ভিডিও এডিটরে রয়েছে অসংখ্য ফিল্টার ও ইফেক্ট। বিউটি ফিল্টার থেকে শুরু করে, বিভিন্ন ধরনের স্টিকার ও এনিমেশন ব্যবহার করা যায় ইন-বিল্ট টিকটক ভিডিও লাইব্রেরী থেকে। রয়েছে বিভিন্ন ধরনের এআর (AR) ইফেক্ট, যেগুলো ব্যবহার করে অসাধারণ সব ভিডিও তৈরী করা যায়।
সোশ্যাল শেয়ারিংঃ টিকটকে ভিডিও পোস্ট করার পাশাপাশি শেয়ার অপশন ব্যবহার করে যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভিডিও শেয়ার করা যাবে। এছাড়া অন্যান্য একাউন্ট টিকটক একাউন্টে লিংক করার সুযোগ ও রয়েছে।
লাইক ও কমেন্টঃ অন্যসব সোশ্যাল মিডিয়ার মতো টিকটকেও লাইক ও কমেন্টের ফিচার রয়েছে।
নোটিফিকেশনঃ টিকটক একাউন্টে আসা নোটিফিকেশন নিজের ইচ্ছামত সেট করার সুযোগ রয়েছে।
হ্যাশট্যাগঃ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের ভিডিও একই ছাদের নিচে আনতে টিকটক ভিডিওতে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার বেশ কাজে দেয়।
সাইন-আপ করা ছাড়া ভিডিও প্রিভিউঃ টিকটক এর জনপ্রিয়তার অন্যতম সেরা কারণ হলো কোনো একাউন্ট ছাড়াই টিকটক অ্যাপ ইন্সটল করেই টিকটক প্ল্যাটফর্ম এক্সপ্লোর করা যায়।
TikTok এর সাধারণ ফিচারসমূহ সম্পর্কে জানা গেলো। এবার জানি চলুন কিভাবে টিকটক একাউন্ট খুলতে হয়।

টিকটক একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২২

দুই ধরনের টিকটক একাউন্ট হয়ে থাকে – ব্যক্তিগত বা পারসোনাল, এবং প্রফেশনাল বা বিজনেস। তবে উভয় একাউন্ট খোলার নিয়ম একই। প্রথমে সাধারণ একাউন্ট খুলে পরে সেটিকে বিজনেস একাউন্টে কনভার্ট করা যায়।
[★★]  মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় জানতে এখানে ক্লিক করুন 

কিভাবে টিকটক একাউন্ট খুলতে হয়

টিকটক একাউন্ট খোলা অনেক সহজ। ইমেইল, ফেসবুক, টুইটার, এমনকি ফোন নাম্বার ব্যবহার করেও টিকটক একাউন্ট খোলা যায়। টিকটক একাউন্ট খুলতেঃ
মোবাইল থেকে টিকটক একাউন্ট খুলতে চাইলে প্রথমে প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে টিকটক অ্যাপ ইন্সটল করুন। কম্পিউটার থেকে একাউন্ট খুলতে চাইলে টিকটক এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
প্রথমবার টিকটক অ্যাপে প্রবেশ করলে টার্মস এন্ড কন্ডিশনস মেনে নিতে Agree & Continue তে ট্যাপ করুন।
এরপর আপনার কি ধরনের ভিডিওতে ইন্টারেস্ট রয়েছে তা জিজ্ঞেস করা হবে। এখান থেকে চাইলে পছন্দের ভিডিও ক্যাটাগরি নির্বাচন করে Next চাপতে পারেন বা Skip অপশনেও ট্যাপ করতে পারেন।
এরপর আপনার লিঙ্গ Male ও Female থেকে সিলেক্ট করুন।
এরপর সোয়াইপ আপ করলে সরাসরি টিকটক অ্যাপে প্রবেশ করবেন।
এবার Profile ট্যাবে ট্যাপ করুন ও Sign Up সিলেক্ট করুন।
এরপর ফোন নাম্বার বা ইমেইল দিয়ে টিকটক একাউন্ট খুলতে Use phone or email অপশন সিলেক্ট করুন।
এহাড়াও ফেসবুক বা গুগল একাউন্ট ব্যবহার করেও টিকটক একাউন্ট খোলা যাবে।
আপনার জন্মতারিখ সিলেক্ট করুন ও Next চাপুন।
ফোন নাম্বার বা ইমেওল প্রদান করে Send Code এ ট্যাপ করুন।
চালু থাকা (যেটা ব্যবহার করছেন) সেটের ফোন নাম্বার প্রদান করলে সেক্ষেত্রে অটোমেটিক ভেরিফাই হয়ে যাবে।
ইমেইল প্রদান করে থাকলে ইমেইলে আসা কোড প্রদান করে ভেরিফাই প্রসেস সম্পন্ন করুন।
 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 
উল্লিখিত পদ্ধতি সঠিকভাবে অনুসরণ করলে আপনার টিকটক একাউন্ট তৈরী হয়ে যাবে। এই প্রক্রিয়াতে “I’m not a robot” ক্যাপচা পূরণ করতে হতে পারে। এভাবে খুব সহজে উল্লেখিত উপায়ে টিকটক একাউন্ট খুলতে পারবেন।

টিকটক বিজনেস একাউন্ট খোলার নিয়ম

টিকটক অ্যাপ
টিকটক একাউন্টকে বিজনেস একাউন্টে পরিণত করার বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সুবিধা রয়েছে। যেমনঃ বিজনেস একাউন্টের প্রোফাইলে ওয়বেসাইট ইউআরএল এড করা যায়। আলাদাভাবে বিজনেস একাউন্ট খোলার কোনো নিয়ম নেই। সাধারণ টিকটক একাউন্টকে খুব সহজে বিজনেস একাউন্টে পরিণত করা যাবে। টিকটক একাউন্টকে বিজনেস একাউন্টে পরিণত করতেঃ
টিকটক অ্যাপে প্রবেশ করে Profile এ ট্যাপ করুন
এরপর হ্যামবার্গার মেন্যু সিলেক্ট করে সেখান থেকে Settings & Privacy অপশনে ট্যাপ করুন
Manage Account এ ট্যাপ করুন
Siwtch to Business Account এ ট্যাপ করুন, Next চাপুন
প্রোফাইলের ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে Next এ ট্যাপ করলে আপনার টিকটক একাউন্ট বিজনেস 
একাউন্টে পরিণত হবে
এরপর Edit Profile এ ট্যাপ করে প্রোফাইলে ওয়েবসাইট, ইমেইল, ইত্যাদি যুক্ত করতে পারবেন।
 ডাটা এন্ট্রি করে আয় করার উপায়
বেসিক টিকটক সেটিংস
টিকটক একাউন্ট খোলার পর কিছু বেসিক বা সাধারণ সেটিংস কিভাবে সেট করবেন তা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

টিকটক অ্যাপ

প্রোফাইল ফটো বা ভিডিও এড করা
টিকটক একাউন্টের প্রোফাইল ফটো বা ভিডিও আপলোড বা পরিবর্তন করতেঃ
  • বোটম মেন্যু থেকে Profile ট্যাব সিলেক্ট করুন
  • Edit Profile এ ট্যাপ করুন
  • Change Photo বা Change Video সিলেক্ট করুন
  • কাংখিত ছবি বা ভিডিও সিলেক্ট করে আপলোড করুন
  • ইউনজারনেম পরিবর্তন করা
  • টিকটক ইউজারনেম একটি ট্যাগ, যা দ্বারা খুব সহজে একাউন্ট খুঁজে পাওয়া যায়। @username এমন ইউজারনেম হয়ে থাকে। টিকটক ইউজারনেম পরিবর্তন করতেঃ
  • Profile ট্যাব সিলেক্ট করুন
  • Edit Profile এ ট্যাপ করুন
  • Username এ ট্যাপ করুন
  • কাংখিত ইউজারনেম প্রদান করে Save এ ট্যাপ করুন
  • অন্য সোশ্যাল মিডিয়া যুক্ত করা
  • টিকটক একাউন্টে ইন্সটাগ্রাম একাউন্ট বা ইউটিউব চ্যানেল লিংক করা যায়। এসব সোশ্যাল মিডিয়া এড করতেঃ
  • বোটম মেন্যু থেকে Profile ট্যাব সিলেক্ট করুন
  • Edit Profile এ ট্যাপ করুন
  • নিচের দিকে Add Instagram to your profile ও Add YouTube to your profile নামে দুইটি অপশন দেখতে পাবেন
  • উল্লেখিত অপশনসমূহে ট্যাপ করলে ইউটিউব বা ইন্সটাগ্রামে লগিন করে একাউন্ট অথেনটিকেট করতে হবে
  • একাউন্ট অথেনটিকেট করার পর টিকটক একাউন্টে সরাসরি ইন্সটাগ্রাম বা ইউটিউব বাটন দেখানো হবে, যাতে ক্লিক করে ইন্সটাগ্রাম একাউন্ট বা ইউটিউব চ্যানেলে ঢুকা যাবে।
  • আপনি কি নিয়মিত টিকটক ব্যবহার করেন? আপনার অভিজ্ঞতা জানান কমেন্ট সেকশনে।

Leave a Comment